২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:২১

হাসান আলী ৮৬ র‌্যাঙ্কিং থেকে বছর শেষে শীর্ষে

স্পোর্টস ডেস্ক:

শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাপারটা সত্যি। ২০১৭ এর শুরুতে ওয়ান ডে বোলারদের তালিকায় ছিলেন ৮৬ নম্বরে, আর বছর শেষে পাকিস্তানের হাসান আলি এখন এক নম্বরে৷ এই উত্থানকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে৷ ২০১৭ সালটা সত্যিই ক্রিকেটবিশ্ব পেল এক নতুন তারকা৷

২০১৬ অগাস্টে অভিষেক, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শিরোনামে উঠে আসেন অখ্যাত হাসান আলি৷ ক্যারিয়ারের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে হাসান এখন পাক ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত তারকা ক্রিকেটার৷

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চোখ ধাঁধানো সাফল্যেই ক্রিকেটবিশ্বে নতুন করে তাঁর পরিচিতি তৈরি করে দেয়৷ ভারতের বিরুদ্ধে বার্মিংহ্যমে মিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা হাসানের কাছে ছিল দুঃস্বপ্ন৷ কোহলি-রোহিতদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সামনে দিশেহারা হয়ে দশ ওভারে ৭০ রানে খরচ করে বসেছিলেন হাসান৷ সাফল্য বলতে মাত্র একটা উইকেট৷ ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে সেই ম্যাচে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারে ১২৪ রানে৷

সেই হার থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো৷ পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এটাই শুইয়ে দিলেন হাসান৷ ২৪ রান দিয়ে ডুপ্লেসিস, ডুমিনি আর পার্ণেলকে তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের থামিয়ে দেন ২১৯ রানে৷ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাকিস্তান যেতে ১৯ রানে৷

এরপর গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা আর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জ্বলে ওঠেন তরুণ বোলার৷ ‘ডার্ক হর্স’ হাসানের কাঁধে ভর করে ফাইনালের টিকিট পায় পাকিস্তান৷ দুটি ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন এই ডানহাতি৷

ফাইনালে ফের বিস্ফোরণ৷ মহম্মদ আমিরের সঙ্গে তিনটি করে উইকেট ভাগ করে নেন হাসান আলি৷ স্কোরবোর্ড ৩৩৮ রান তুলে ভারতকে ১৫৮ তে থামিয়ে দেয় আমির-হাসান জুটি৷ ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতে পাকিস্তান৷ পাঁচ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ার সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরার মুকুট উঠেছিল হাসানের মাথায়৷

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭ ৭:৩৫ অপরাহ্ণ