নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ঢল নেমেছে। দুই দিনের সরকারি ছুটি এবং বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে পরিবার ও নিকটজনদের নিয়ে পর্যটকেরা ছুটে আসছেন সেন্টমার্টিনে। রাত্রিকালীন সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নদী-সাগর পাড়ি দিয়ে হাজারো পর্যটক এখন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে দ্বীপের শতাধিক আবাসিক হোটেল এবং কটেজসমূহ পর্যটকে ভরে গেছে। হোটেল মালিকরা জানান, বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে আগে থেকেই পর্যটকেরা সেন্টমার্টিনের হোটেল এবং কটেজে বুকিং দিয়েছেন। এমনকি হোটেল-কটেজ পরিপূর্ণ হলে হাজারো পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে রাত কাটাবেন বলে জানা গেছে।
পঞ্চগড় থেকে প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটক আক্কাছ মিয়া জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাতযাপন করার শখ ছিল দীর্ঘ দিনের। বছরের শেষ দিন উদযাপন করতে পরিবার নিয়ে প্রবাল দ্বীপে ছুটে এসেছি। সেন্টমার্টিন হোটেল কটেজ মালিক সমিতি ও দ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে পর্যটকেরা প্রতিবছর সেন্টমার্টিনে আসেন। এবছর তার ব্যতিক্রম হবে না। দ্বীপের হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি সব সময়ই পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুর আহমদ জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে সাত হাজারেরও বেশি পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। বছরের শেষ দিনকে স্মৃতিময় করতে এসব পর্যটক আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রবাল দ্বীপে অবস্থান করবেন। অনেক পর্যটক হোটেল-কটেজে জায়গা না পেয়ে ইতিমধ্যে তাঁবু ভাড়া নিয়েছেন। তারা নিকটজনদের নিয়ে সৈকতের বালিয়াডিতে রাত কাটাবেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাইন উদ্দিন খান জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করছে। বিশেষ দিন পর্যটকরা যেন উদযাপন করতে পারেন সেই জন্য তিনস্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি