২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৩

শিক্ষামন্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করুন দেখবেন অনেক কাজ হবে : এম হাফিজ উদ্দিন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারি পর্যায় থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলা হয়। আমার মনে হয়, শিক্ষা ব্যবস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা দরকার। তাহলেই কাজ হবে। কিন্তু তা কী করা হয়? হয় না।
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও টিআইবির সাবেক চেয়ারপারসন এম হাফিজ উদ্দিন খান আরও বলেন, দেশের সব খাতের মতো শিক্ষা খাতেও অনিয়ম-দুর্নীতি আছে। বলা যায় শিক্ষাখাতে দুর্নীতির পরিমাণ আরও বেশি। ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষামন্ত্রী যখন বলেন, দুর্নীতিকে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসেন, তখন অবস্থাটা কী দাঁড়ায় ভাবা যায়। তিনি অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার কথা বলছেন না, বলছেন কমাতে! তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ হবে? বন্ধ হবে না।

এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের অবস্থানটা আসলে কী? তাদের নির্বাচনী মেনুফেস্টুতে কী আছে? দুর্নীতি উচ্ছেদ করা। অথচ সরকারের মন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক। এটা তো কোনো কথা হলো না। শিক্ষামন্ত্রীর তো চাকরি চলে যাওয়া উচিত। তাকে চাকরিচ্যুত করুন দেখবেন অনেক কাজ হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার অনিয়-দুর্নীতি হয়তো একদিনে বন্ধ হবে না কিন্তু শুরু তো করতে হবে। এটা করতে হলে আগে পলিটিক্যাল লেভেলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

এরকম কিছু ব্যক্তিকে ধরুন, বের করে দিন তাহলে অনিয়ম অনেকটাই কমে আসবে। দুর্নীতি দমন কমিশন তো সক্রিয় রয়েছেই। মোটামুটিভাবে তারা এখন ভালোই কাজ করছে। তিনি বলেন, সরকারি হিসাব সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ধরনের ব্যক্তিকে দিয়ে ভালো কাজ কীভাবে হবে? আর পার্লামেন্টের স্ট্যাডিং কমিটিগুলো কী ঠিকমতো কাজ করে? স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো কী কোনো মন্ত্রণলায়ের অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাগুলো কী দেখে? দেখে না। মিটিং করে খাওয়াদাওয়া করে অ্যালাউন্স নিয়ে চলে যায়। অথচ পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পৃথিবীর সব দেশেই। কিন্তু আমাদের পার্লামেন্টের স্ট্যাডিং কমিটিগুলোর এই অবস্থা।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭ ১:০২ অপরাহ্ণ