আজ ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগুরু যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। পবিত্র কুরআনে যাঁকে হযরত ইসা (আঃ) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, খৃষ্টানরা তাঁকেই যীশু হিসেবে অভিহিত করে থাকে। যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত মহাপুরুষ ছিলেন এবং সে সময়ে তিনি মানুষকে পাপাচার থেকে বিরত থাকতে এবং ঈশ্বরের আরাধনা ও সত্য ন্যায়ের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর প্রবর্তিত ধর্মের নাম খৃষ্টান ধর্ম। বাইবেল এ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ। অবশ্য পবিত্র কুরআনে ওই ধর্ম গ্রন্থকে ‘ইঞ্জিল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সবার সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
যীশু খৃষ্ট বা ইসা (আঃ) মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়েছেন। যা কিছু ভালো ও মানুষের জন্য কল্যাণকর তা করার জন্য তাঁর অনুসারীর-অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তৎকালীন সমাজপতিগণ যীশুর এ ধর্ম প্রচারকে ভালোভাবে নেয়নি। মানুষ তার অধিকার ও মানবিকতা সম্পর্কে সচেতন হলে সমাজপতিদের কায়েমী স্বার্থ বিঘিœত হবে- এ আশঙ্কায় তারা যীশুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এক পর্যায়ে ক্রুশবিদ্ধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়।
সব ধর্মের মর্মকথা শান্তি ও মানব কল্যাণ। বিশ্বের অপরাপর ধর্ম প্রচারকদের ন্যায় যীশুও তাঁর অনুসারীদের সে শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। ধর্মের মর্মবাণীকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না বলেই সমাজে আজ এতো অনাচার-পাপাচার বিশৃংখলা। এক শ্রেণীর মানুষ বিবেককে ঢেকে রেখেছে লোভ আর হিৎসার দেয়ালের আড়ালে। দেশে দেশে আজ মানবিকতা ভুলণ্ঠিত। নির্বিচারে মানুষ হত্যা চলছে নানা অজুহাতে। মানুষ মানুষের জন্য কথাটি এখন যেন অনেকটাই পরিত্যাক্ত।
বলাই বাহুল্য, নীতি নৈতিকতার শিক্ষা এবং ধর্মীয় অনুশাসন থেকে দূরে সরে যাওয়াই এর মূল কারণ। আজ যীশু খ”ষ্টের শুভ জন্মদিনে তাঁর অনুসারীদেরকে শপথ নিতে হবে মানুষের কল্যাণে কাজ করার। তাহলেই তারা পাবেন ঈশ্বরের আশীবার্দ। একই সঙ্গে যে কোন ধর্মের কল্যাণকর দিকগুলো আত্ম¯’ করার মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য।
সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।