২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫২

সৌদি ছাড়াই নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ, যোগ দেবে ইরান ও ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বা প্রভাবে যে ধরনের রাজনীতি শুরু করেছে সে ধরনের বলয় থেকে বের হয়ে আসছে চাচ্ছে উপসাগরের অন্যান্য রাজতন্ত্রের দেশগুলো। ওমানের এক শীর্ষ রাজনীতিবিদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এক হলেও তাতে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বিনস্ট করছে। সিরিয়া ও ইয়েমেনে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ছাড়াও লিবিয়া, ইরাক পরিস্থিতি এক্ষেত্রে জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে আছে।

মিডিল ইস্ট আইকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ওমানি রাজনীতিবিদ বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অবরোধের ফলে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল ভঙ্গুর পরিস্থিতি লাভ করেছে এবং যেভাবে অনাকাঙ্খিত মার্কিন চাপ বাড়ছে তাতে মাস্কাট সৌদি-আমিরাত মুক্ত বিকল্প সুরক্ষা খুঁজতে বাধ্য হতে পারে। কারণ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ এ অঞ্চলে সংকটকে দীর্ঘ করছে এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলকে নিষ্ক্রীয় করে ফেলছে। এরই মধ্যে গত মাসে রিয়াদ ও আবুধাবি উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল থেকে বের হয়ে এসে রাজনৈতিক ও সামরিক জোট গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ায় তার বিকল্প আরেকটি জোট গঠন এখন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জর্ডানের এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, সৌদি ও আমিরাত একাকি যাত্রা শুরু করলে অন্য রাষ্ট্রগুলো নিজের নিরাপত্তায় চুপ করে কখনো বসে থাকবে না। ওমান, কাতার ও কুয়েত অবশ্যই নতুন জোট গঠনে উদ্যোগী হবে। এর সঙ্গে যোগ দিতে পারে ইরান ও ভারত। সৌদি আরব ইরানকে প্রতিপক্ষ মনে করলেও ওমান ও ভারত ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভারত শুধু আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধি করেনি, ইরানের চবাহার বন্দরে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখন যদি সৌদি ও আমিরাত নিজেদের উদ্যোগে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল থেকে ঘুরে দাঁড়ায় তাহলে বিকল্প জোট আরো নতুন দেশগুলোকে নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করবে যা ‘সুপার ব্রেক্সিট’এর অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২১, ২০১৭ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ