২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২১

ভয়-ভীতি দেখানোয় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেনি: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার নানা ভাবে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ভোটারদের উপস্থিতি নজিরবিহীন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের জানামতে রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার পর থেকেই আপনাদের কাছে বলেছি-সরকার নানাভাবে সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করছে। তারই প্রতিফলন ঘটলো আজকের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের টার্ন আউটের মধ্য দিয়ে’।

তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার কারণেই ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির হার একেবারেই কম। আমরা পূর্বেই বলেছি-ভোট চুরি দুইভাবে হতে পারে-একটি হলো ভোট সন্ত্রাসের মাধ্যমে অন্যটি ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে। আজকে রংপুর সিটি নির্বাচনে দুই পদ্ধতিই প্রয়োগ করেছে ভোটারবিহীন সরকার। তিনি আরো বলেন, ‘সকালের ব্রিফিংয়ে আমরা বলেছিলাম-আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের ক্যাডার এবং প্রশাসনের দায়িত্বরত সরকারদলীয় লোকেরা বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টদেরকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। এমনকি ধানের শীষের প্রার্থী কাউসার জামান বাবলাকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে। আজ্ঞাবহ ইলেকশন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে আজ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারেনি। নির্বাচন শুরুর পর থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম ও কেন্দ্র দখলে সেটিরই বাস্তবতা ফুটে উঠেছে’।

রিজভী আরো বলেন, ফতেপুর স্কুল এবং দেউডোবা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। ভোট দিতে ব্যাপকভাবে বাধা দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এছাড়া কেল্লাবন্দ ভোট কেন্দ্রও সন্ত্রাসী কায়দায় দখলে নিয়ে কিছু সময় ব্যালট পেপারে সীল মারে। অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও বিএনপি সমর্থিত এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সীল মারার খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি এ যুগ্ন মহাসচিব বলেন, মহাজোট সরকারের মন্ত্রী, মহাজোট সরকারের মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত এরশাদ সাহেব আজ সারাদিন নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে প্রভাব বিস্তার করলেও নির্বাচন কমিশন চোখ বন্ধ করে রেখেছে। যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম তাই এখন দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহায়তায় সরকারের লোকেরা কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট পেপারে সীল মেরে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আয়োজন করছে কী না সেটি বৃহৎ প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২১, ২০১৭ ৪:৩০ অপরাহ্ণ