২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৩০

লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

লাখো পর্যটকে মুখর বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। সকালে সৈকতে গোসল, বিকেলে বালুচরে দাঁড়িয়ে অস্তগামী রাঙা সূর্য অবলোকন, পাহাড়ি ঝরনা, মেরিনড্রাইভ সড়ক পরিদর্শন করে সময় পার করছেন তাঁরা। অনেকে প্রমোদতরীতে ছুটছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে। তবে পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে দেশের নানা জায়গা থেকে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে।

হোটেল মালিকেরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন অন্তত তিন লাখ পর্যটক। এর মধ্যে এক লাখ পর্যটক ফিরে গেলেও অবশিষ্ট দুই লাখ পর্যটককে সামাল দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গতকাল সকালে সৈকতের লাবণি পয়েন্টে দেখা গেছে হাজার হাজার পর্যটক লোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উল্লাস করছেন। কেউ আবার জেডস্কি ও স্পিডবোটে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে।

দেখা গেছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শত শত পর্যটক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম), খোলা জিপ ও অটোরিকশায় চড়ে শহর থেকে মেরিনড্রাইভ সড়ক দিয়ে যাচ্ছেন কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানীর পাথুরে সৈকত, শীলখালী, জাহাজপুরা, বাহারছড়াসহ টেকনাফ সৈকতে। কেউ কেউ স্পিডবোটসহ নৌযানে করে ছুটছেন মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপে।

তবে পর্যটনের এই রমরমা মৌসুমে অনেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পিপলস ফোরাম সংগঠনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫ ডিসেম্বর সমুদ্রসৈকতের পাশে জাম্বুর দোকান এলাকায় দিনদুপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন ফেনীর আবু তাহের নামে এক পর্যটক। পুলিশ এখনো ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈকত এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সমুদ্রসৈকতে নামার সি-ওয়ার্ল্ড সড়ক, সাংস্কৃতিককেন্দ্রের সামনে, জাম্বুর দোকান, কলাতলী মোড়, সৈকতের ঝাউবাগান এলাকা, হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস এলাকা, বাইপাস সড়ক, বাস টার্মিনাল, বিজিবি ক্যাম্প ও সাবমেরিন কেব্‌ল ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় দিনরাত প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমেদ বলেন, শহরের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস, কটেজের কোথাও এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ১০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে। ইতিমধ্যে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ৯০ শতাংশ হোটেলকক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। সব দিক বিবেচনা করে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।

অবশ্য ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি বলেন, সৈকতের ডায়াবেটিকস পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত চার কিলোমিটারে ট্যুরিস্ট পুলিশ ২৪ ঘণ্টা এবং মেরিনড্রাইভসহ ইনানী সৈকতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সময় পর্যটকদের সঙ্গে থাকছে একদল ট্যুরিস্ট পুলিশ। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, হোটেলকক্ষ ভাড়া ও খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমেছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ