নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ইসামীসহ পাঁচজন। অন্যরা হলেন- ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের পিপলস প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুর, তার আত্মীয় সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র বনি ইসরাইল ও মারুফ হোসেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় সিআইডির হাতে গ্রেফতার আরও ১৯ জন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত গ্রেফতার ২৪ জনই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কোনো ঘটনায় গ্রেফতার সকল অভিযুক্তের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রম বলে জানিয়েছেন তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা। আর অভিযুক্ত প্রায় সবার বক্তব্যে উঠে এসেছে প্রশ্ন ফাঁসের নাটের গুরু ক্রীড়া কর্মকর্তা ইসামীর।
সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত অনেকে বিলাসী জীবন-যাপন করতেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকায় তারা খেতেন দামি হোটেলে। প্রায়ই দলবেঁধে ঢাকার বাইরে ঘুরতে যেতেন। চড়তেন দামি গাড়িতে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার অন্যতম হোতা ইসামী ও নাভিদ আনজুম তনয়ের ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ