নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর চরচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সখিপুর থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সখিপুর থানাধীন চরচান্দা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বচনে দুটি প্যানেল যথাক্রমে আমিন হাওলাদার ও মোহাম্মদ আলী তারা হাওলাদার প্যানেল থেকে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৫৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৫১৩ জন ভোটার ভোটপ্রয়োগ করেন। এ ভোটে আমিন হাওলাদার গ্রুপের ফুল প্যানেল বিজয়ী হয়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ফলাফল ঘোষণা করার পর রাত অনুমান ৭টায় বিজয়ী গ্রুপের সমর্থকরা বিজয় মিছিলের নামে হৈ হৈ রৈ রৈ করে লাঠিসোটা নিয়ে মোহাম্মদ আলী তারার বাড়িঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায়। একপর্যায়ে মারমুখী বিজয়ী সমর্থকদের সামাল দিতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড রাবার গুলি ছোঁড়ে।
এ ঘটনায় সখিপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম, কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন কনস্টেবল ফারুক হোসেন, কনস্টেবল বদিউজ্জামান ও তকি হাওলাদার, ওমর ফারুক মোল্যা, খোরশেদ হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, আরাফাত হোসেন, মতিঋুর রহমান হাওলাদারসহ ২০জন আহত হন। এদেরকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ওমর ফারুককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের এএসআই রেজাউল করিমকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তকি হাওলাদার ও আমিন হাওলাদারকে আটক করেছে। পরে আমিন হাওলাদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী তারা প্যানেলের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ আলী তারা বাদী হয়ে ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী তারা বলেন, বিজয়ী হয়ে আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার বাড়িঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। তারা আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে কমপক্ষে ১৫ জনকে আহত করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদের উপর হামলা করে।
আমিন হাওলাদার বলেন, বিজয়ের ফলাফল ঘোষণার পর একটা বিজয় মিছিল বের হয়। এ সময় আমার সমর্থক ওমর ফারুক মোল্যা বাড়িতে শীতের কাপড় আনতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকেরা তাকে বেধম মারদর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ খবর আমাদের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সখিপুর থানার ওসি মো. মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, স্কুল কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী দলের সমর্থকরা বিজিতাদের বাড়িঘরে ও তাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। কর্তব্যরত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা করে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ