২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:১৬

আইসিসি’র প্রস্তাবিত এফটিপিতে উপেক্ষিত হওয়ায় হতাশ পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক:

নতুন প্রস্তাবিত এফটিপিতে সব ধরনের ফর্মেটে কম ম্যাচ পাওয়ায় দারুণ হতাশা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় আগামী চার বছরের জন্য ফিউচার ট্যুর প্ল্যান প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এফটিপি অনুযায়ী পাকিস্তানের জন্য চার বছরে মাত্র ২৮টি টেস্ট ম্যাচ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তাদের সাথে কম টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অপর শীর্ষ দল হলো নিউজিল্যান্ড। তবে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড শীর্ষ দলগুলোর বাইরে এই চার বছরে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে। অথচ তার বিপরীতে ভারত খেলবে ৩৭টি টেস্ট। ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৪৬টি ও অস্ট্রেলিয়া খেলবে ৪০টি। বাংলাদেশের সামনে আছে ৩৫টি টেস্ট খেলার সুযোগ, যার থেকে পাকিস্তান প্রায় ২৫ শতাংশেরও কম ম্যাচ খেলবে।
নয়া এফটিপিতে সবচেয়ে কম ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচ। আশ্চর্যের বিষয় হলো আফগানিস্তান (৪১), জিম্বাবুয়ে (৪০) ও আয়ারল্যান্ডও (৪২) পাকিস্তানের থেকে বেশী ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের জন্য ধরা হয়েছে ৬২টি ম্যাচ। শ্রীলংকা খেলবে ৪৮টি। অন্যদিকে ভারত খেলবে ৬১টি। এই চার বছরে পাকিস্তান ৩৮টি টি২০ ম্যাচ খেলবে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে এটাও অন্য দলগুলোর তুলনায় সর্বনিম্ন। এমনকি আয়ারল্যান্ডও তাদের থেকে ৬টি বেশী টি২০ ম্যাচ খেলবে। ভারত খেলবে ৬১টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৫টি ও নিউজিল্যান্ড ৪৯টি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান নাজাম শেঠী বলেছেন ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা নিষ্পত্তি হবার পরেই তারা কেবল এই এফটিপিতে সম্মতি জানাবে। শেঠি জানিয়েছেন হয় ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে মত দিবে। অথবা আইসিসি’র আইন ভঙ্গের কারণে পাকিস্তানের দাবীকৃত ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিবে। পিসিবি’র সাবেক প্রধান নির্বাহী আরিফ আলি আব্বাসী নতুন এফটিপি নিয়ে দারুণ হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘পিসিবিকে আইসিসি’র এই ধরনের হেনস্থা করার অর্থই হচ্ছে পিসিবির সাংগঠনিক দক্ষতার অভাব। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। সে কারণেই এখন আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আইসিসিকে চ্যালেঞ্জ করার কোন অর্থ নেই। আইসিসি এ ব্যাপারে কিছুই করবে না, বিসিসিআই’ও তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যাবেনা।’
আব্বাসী মনে করেন আইসিসি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলে গেছে। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে ২০১৭ সালে বিভিন্ন ফর্মেটে পাকিস্তান র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও তারা জিতেছে। কিন্তু তার পরেও কিভাবে সব ফর্মেটে এত কম ম্যাচ পায় পাকিস্তান। এই এফটিপি ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হবে। সে কারণেই এখনো আইসিসির হাতে এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে অনেক সময় রয়েছে। বাসস
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭ ৩:৩৪ অপরাহ্ণ