ব্যাট হাতে রাজধানী ঢাকার সম্মান রক্ষায় লড়লেন জহুরুল ইসলাম একা। ঢাকার হেভিওয়েট ব্যাটিং লাইনআপে অসহায় হয়ে থাকা জহুরুলের কল্যাণেই ১০০ পেরোল ঢাকা। জহুরুলের ৩৮ বলে ৫০ রানে ব্যবধানটা একটু কমে এল। না হলে আজ তো সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড ধরেই নাড়াচাড়া করতে হচ্ছিল।
অথচ ঢাকা দলে কে নেই? এভিন লুইস, জো ডেনলি, কাইরন পোলার্ড, শহীদ আফ্রিদি কিংবা ইদানীংকালের অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন। দেশি মেহেদী মারুফ, সাকিব আল হাসান কিংবা মোসাদ্দেক তো আছেনই। এঁদের মাঝে সাকিব আল হাসান ১৬ বলে ২৬ রান করেছেন বটে, তবে সেটা পরিস্থিতির তুলনায় নেহাতই তুচ্ছ!
২০৬ তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে মারুফ বিদায় নিলেন। ১ রান পর ডেনলিও নেই। দলকে ১৯ রানে রেখে মারুফ বিদায় নিতে বোঝা গেল, ক্রিস গেইল যা করেছেন (৬৯ বলে ১৪৬ রান) ওটা গেইল বলেই পেরেছেন। এ পিচে রান তোলা সহজ কাজ নয়। পোলার্ড, সাকিব, মোসাদ্দেকরাও ১০ ওভারের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে আশ্রয় নিলেন। এক ছক্কা মেরে আফ্রিদিও ওমুখো। ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানো ঢাকা তখন ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায়।
জহুরুল দায়িত্ব নিয়ে সে যাত্রা পার করলেন বটে। নারাইনকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়লেন। কিন্তু পঞ্চম বিপিএলের বিজয়ীর নাম যে রংপুর রাইডার্স, সেটা জানতে জহুরুলের আউট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। সে মীমাংসা যে চার ওভারের মধ্যেই করে দিয়েছে ঢাকার টপ অর্ডার। নাকি আরও আগে? ক্রিস গেইলের তোলা অমন ঝড়েই তো সব তছনছ!
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ