আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝেই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টেনিও গুয়েটেরেস সিএনএনকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার উদ্যোগকে ঝুঁকিতে ফেলছে। তবে, ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারো বলেছেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিনদের অবশ্যই বাস্তবতার মোকাবিলা করতে হবে যে, তার ভাষায় ‘জেরুজালেমই ইসরায়েলের রাজধানী’। নেতানিয়াহু বলেন, “গত ৩০০০ বছর ধরেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী ছিলো এবং এটি কখনোই আর কারো রাজধানী ছিল না”।
আর মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি জেরুজালেমকে ইহুদী, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ‘এক পবিত্র নগরী’ বলেও উল্লেখ করেছেন। এই ঘোষণার প্রতিবাদে আরব ও মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন পোপ। আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ প্যারিসে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসারয়েলের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত না করার অনুরোধ করেছেন। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সূত্র ধরে ম্যাক্রঁ বলেন, “আমি তাকে বলছি, অনুগ্রহ করে শান্তি আনতে আরেকটি সুযোগ দিন। ফিলিস্তিনদের কথা ভাবুন, শান্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। শান্তি রয়েছে দুই দেশের দুই নেতার হাতে— তাদের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগের ওপর”।
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের কঠিন সমালোচনা করেছেন বলে তার মুখপাত্র জানিয়েছেন। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে মাইক পেন্সের সাথে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে অনীহা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার ঘোষণায় বিশ্বনেতাদের অনেকেই এর নিন্দা জানাচ্ছেন। পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার জন্যও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ২২টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
প্রতিবাদ হচ্ছে খোদ জেরুজালেমেও। এক ফিলিস্তিনি বাস স্টেশনে ছুরিকাঘাত করে ইসরায়েলী এক নিরাপত্তা প্রহরীকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয় এবং নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। -বিবিসি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি