২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:০৯

বিশ্বের প্রথম বিটকয়েন বিলিওনিয়র এই জমজ ভাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে বিটকয়েন নামটা মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। বাস্তবে বিটকয়েনের কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এটা বেশ চর্চিত বিষয়। বিটকয়েন হল লেনদেন হওয়ার সাংকেতিক মুদ্রা।

বিটকয়েনটা আসলে কী: ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন করেন। বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন হয়।

বিটকয়েনের দাম বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ বছর আগের ১ লাখ টাকার বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

বর্তমানে যাদের হাতে বিটকয়েন আছে তারা নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনীদের তালিকায়। সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম বিটকয়েন বিলিওনিয়র হলেন ক্যামেরন এবং টেলর উইঙ্কলিভস।

বিশ্বের প্রথম বিটকয়েনের মালিকদের সম্পর্কে সম্প্রতি বেশকিছু তথ্য তুলে ধরে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

ক্যামেরন এবং টেলর উইঙ্কলিভস জমজ ভাই। তারা ২০১৩ সালে প্রথম বিটকয়েন কিনেছিলেন। ক্যামেরন এবং টেলরের জন্ম ১৯৮১-র ২১ অগস্ট। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত দুই ভাই-ই পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তারা দাবি করেছিলেন, ফেসবুকের ‘কনসেপ্ট’ তাদের কাছ থেকে চুরি করেছেন মার্ক জাকারবার্গ।

এই জমজ ভাই দাবি করেন, ‘ফেসবুকের মতোই একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। সেই প্লাটফর্মের নাম ছিল ‘হার্ভার্ড কানেক্ট’।

পরিকল্পনা চুরির অভিযোগে মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন তারা।

সেই মামলা থেকেই ২০০৮ সালে ফেসবুকের পক্ষ থেকে সাড়ে ছয় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পান তারা।

২০১৩ সালে তার মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার খরচ করে ১ লাখ বিটকয়েন কিনেছিলেন এই দুই ভাই। সেই সময় প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিল ১২০ ডলার।

অবশ্য সে সময় বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা ছিল, বিটকয়েনে বিনিয়োগ করার মতো বোকামির কাজ আর নেই।

তবে সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন ক্যামেরন-টেলর। এই মুহূর্তে প্রতি বিটকয়েনের দাম ১১ হাজার ৩৯৫ মার্কিন ডলার। ফলে এখন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক এই দুই ভাই। এখনো পর্যন্ত একটা বিটকয়েনও বিক্রি করেননি তারা।

তবে ২০১৪ সালে প্রথম বিটকয়েনের লভ্যাংশ বিক্রি করে রিচার্ড ব্যারেনসনের ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’-এ আসন বুক করেছেন তারা। এটাই বিশ্বের প্রথম কমার্শিয়াল স্পেসলাইন। বিটকয়েনের সৃষ্টিকর্তা সাতোশি নাকামতোর পর তারায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিটকয়েনের মালিক।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৬, ২০১৭ ১:০৫ অপরাহ্ণ