২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৩৬

অর্ধশত খাল পুনরুদ্ধারে কর্মপরিকল্পনার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বেদখল হওয়া অর্ধশত খাল পুনরুদ্ধারে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী খালগুলোর বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান, পুনরুদ্ধারের জন্য মূল প্রবাহ অনুযায়ী খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখলদার ও দূষণকারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি খালগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সময় নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা আগামী জুলাইর মধ্যে আদালতে দাখিল করতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, রাজউক চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।
এছাড়া রাজধানীর খালগুলোকে জোরপূর্বক দখল, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং দূষণ হতে রক্ষায় বিবাদীগণের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও জনস্বার্থ-বিরোধী ঘোষণা এবং খালগুলোকে অবৈধ দখল ও অবকাঠামো অপসারণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন বিবাদীগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
রামচন্দ্রপুর, কাঁটাসুর, কালশী, বাউনিয়া, দিয়াবাড়ি, বেগুনবাড়ি, বাইশটেকি, জিরানী, মান্ডা, ডুমনি, বোয়ালিয়া-বাউফার, রূপনগর, কল্যাণপুর খালসহ অর্ধশত খাল দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর প্রায় ২২টি খাল মৃত ও অস্তিত্বহীন জলাধারে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে আরো ২১টি খাল। অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত কালভার্ট/ বক্সকালভার্ট এবং দখলকারদের কবলে পড়ে এ খালসমূহ কোথাও নর্দমা আবার কোথাও নালার আকার ধারণ করেছে। তাই সামান্য বৃষ্টিতে রাজধানীতে নজিরবিহীন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য ভারী বৃষ্টিতে ঢাকার নিচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। অচল হয়ে পড়ছে জনজীবন এবং রাস্তায় রাস্তায় তৈরি হচ্ছে মানুষের মৃত্যু ফাঁদ।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৫, ২০১৭ ২:৩২ অপরাহ্ণ