নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংক ধারাবাহিকভাবেই তা মানছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আক্টোবর মাস শেষে ১০টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের বেশি রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লে করা হয়েছে, এবারের তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ব্যাংক স্পেড সীমা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী নামিয়ে এনেছে। তবে বিদেশি ৫টি ও বেসরকারি ৫টি ব্যাংকের স্প্রেড এ সীমা অতিক্রম করেছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি স্পেড রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের; যা ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তবে এ মাসে ব্যাংকিং খাতে গড় স্প্রেড দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কমেছে। তবে ঋণের সুদ হারও কমেছে শূন্য ৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, আমানতের পাশাপাশি ঋণের সুদ কমায় অক্টোবরে গড় স্প্রেড দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এদিকে, অক্টোবরে স্প্রেড সীমা বেশি রয়েছে ১০টি ব্যাংকের। এ তালিকায় বিদেশি খাতের ৫টি এবং বেসরকারি খাতের ৫টি ব্যাংকের নাম রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আমানতের অনুপাতে ঋণের সুদ হার আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে, ফলে বেশির ভাগ ব্যাংকের স্প্রেড সীমা নির্দেশিত শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। তবে কিছু ব্যাংকের স্প্রেড প্রত্যাশিত হারে কমছে না। এর জন্য খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিকেও দায়ী করেছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে অক্টোবরে বিদেশি ৫টি ব্যাংকের স্প্রেড নির্ধারিত সীমার বাইরে রয়েছে। এরমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের স্প্রেড ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সিটি ব্যাংক এন এ ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, উরি ব্যাংক ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশট এবং এইচএসবিসি’র স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এ সময়ে বেসরকারি খাতের ৫টি ব্যাংকের স্প্রেডও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের স্প্রেড ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যা একক ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, দ্যা সিটি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, উত্তরা ব্যাংকের ৫ দশমিক ১২ শতাংশ, ফারমার্স ব্যাংকের ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বলেন, সব ব্যাংকের স্প্রেডসীমা ৫ শতাংশের নিচে আনতে বরাবরই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। যে কয়েকটি ব্যাংকের স্প্রেড বেশি রয়েছে তাদের কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ