বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের দুই দিনব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের হলরুমে ‘খ’ ইউনিটের ৫৩০টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ৫শ’ ৩৪জন এবং একই দিন বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একই হলে ‘গ’ ইউনিটে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ৭শ’ ২০জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
পরদিন শনিবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন সহ নগরীর সরকারি বরিশাল কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি আলেকান্দা কলেজ, সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় এবং বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ‘ক’ ইউনিটের ৫৪৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১১ হাজার ৬শ’ ৬০জন শিক্ষার্থী। গত বছরের মতো এবারও ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অবান্তর এবং নিস্প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০১১ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি ৭ম ভর্তি পরীক্ষা। এবার নতুন দুটি বিভাগ ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োটেকনোলজি’ সহ মোট ৬টি অনুষদের অধীন ২২টি বিভাগের ১ হাজার ৩শ’ ৭৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষার্থী ২৭ হাজার ১০৬জন। প্রতিপদে প্রতিদ্বন্ধি পরীক্ষার্থী প্রায় ২০জন। নতুন দুটি বিভাগের আসন সংখ্যা ২০জন করে মোট ৪০জন। গত ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ৬ অনুষদের ২০ বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলেন ২৪ হাজার শিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনেচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে ২৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার হলে প্রবেশ এবং পরীক্ষার শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া আছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস সহ যাবতীয় তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://admission.eis.bu.ac.bd, www.barisaluniv.edu.bd ও www.barisaluniv.ac.bd) দেয়া আছে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক সহায়তার জন্য গনমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক।
ভিসি বলেন, নানামুখি পদক্ষেপের কারনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। ভিসি কিংবা ট্রেজারার ছাড়া আর কারো প্রশ্নপত্র ফাঁস করার সুযোগ নেই বলে জোড় দিয়ে বলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক। সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ভর্তি পরীক্ষার হলে কোন পরীক্ষার্থী মাথা, কান ও গলা ঢেকে হলে প্রবেশ করতে পারবেনা। এর সাথে ধর্মীয় অনুভূতির কোন সম্পর্ক নেই। হলে যে কোন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস এবং ঘড়িও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আরো সতর্কতার জন্য পরীক্ষাকালীন সময়ে প্রথমবারের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল মাহমুদ রুমি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি