স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে বেশি অসুস্থ হয় শিশুরা। এ সময়ে শিশুরা কি ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় এবং কীভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় তা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ। মূলত এ সময় শিশুরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা, কাশি, সর্দি এবং এ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হয়। আর সঙ্গে সিজোনাল জ্বর তো রয়েছেই।
রোগের লক্ষণ
ঠাণ্ডা অনেক দিন স্থায়ী হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস নেয়া। সাধারণত আমাদের দেশের অপুষ্ট কম ওজনের শিশুরাই এ ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আর দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা সুষম খাদ্য এবং যত্নের অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে।
শিশু অসুস্থ হলে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে এবং নিয়মিত খাবার খাওয়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তার ঠাণ্ডা না লাগে। তাদের ধুলাবালি থেকেও দূরে রাখতে হবে। শিশু একটানা তিন দিনের বেশি অসুস্থ থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা
নিউমোনিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ১৫ দিনের চিকিৎসায়ই শিশু ভালো হয়ে যায়। আর ভাইরাসজনিত জ্বরও ৩ থেকে ৫ দিনেই সেরে যায়। শিশুকে জন্মের পর থেকে সবগুলো টিকা সময় মতো দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। টিকার পাশাপাশি ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়েও তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবগুলো টিকা নিয়মিত দিলে শিশু বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পায় এবং তার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। শিশুকে শীতের পোশাক পরাতে হবে। আর গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সাধারণ সর্দি, কাশিকে অবহেলা না করারও পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি