নিজস্ব প্রতিবেদক :
অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মুন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও সাত ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায, আসামি আলহাজ মিজানুর রহমানসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্রকল্পের জমিতে মালিকানা বিরোধ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা পেন্ডিং থাকা অবস্থায়, রাজউক কর্তৃক ভবন নির্মাণের বাতিলকৃত নকশার ওপর নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এবং ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহককে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে এবং পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এর মধ্যে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৯ টাকার কাজ করে অবশিষ্ট ৬০ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৩০ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকটিকে আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬২(ক)/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, মুন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও দৈনিক বর্তমানের প্রকাশক-সম্পাদক মিজানুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন, অগ্রণী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল হামিদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আখতারুল আলম, প্রাক্তন উপ-মহাব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন) মো. শফিউল্লাহ এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর