আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কলকাতার হেয়ার স্কুলে জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শহরের কলেজ স্ট্রিটে ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ সালে তৎকালীন হিন্দু কলেজের বিপরীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি স্কুল। সেটিই পরবর্তী সময়ে হেয়ার স্কুল হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৪৬ সালে এই স্কুলে পড়েছিলেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বছরব্যাপী দ্বিশতবার্ষিকী উৎসবের সূচনা হয়েছে। চলবে ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উৎসবের সূচনায় স্কুলের খ্যাতনামা সাবেকদের স্মরণ করে কলেজ স্ট্রিটের সমস্ত ল্যাম্পপোস্টে তাদের ছবি লাগিয়ে সম্মান জানিয়েছে হেয়ার স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সাবেকদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ছবি দিয়েও পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম বসু গণমাধ্যমকে জানান, আমরা দ্বিশতবার্ষিকী উৎসবের অঙ্গ হিসেবে সাবেকদের সম্মানিত করতেই কলেজ স্ট্রিটের সমস্ত ল্যাম্পপোস্টে ২০-২৫ জন বিশিষ্ট সাবেকদের ছবি দিয়ে পোস্টার দিয়েছি। বহু মনীষীই এই হেয়ার স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন, রাজনারায়ণ বসু, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, মহেন্দ্রলাল সরকার, গুরুদত্তের মতো বিশিষ্টদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকেও আমরা সম্মানিত করেছি পোস্টারে তার ছবি দিয়ে। হেয়ার স্কুলের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পর্ক অবশ্য বেশিদিনের নয়। এক বছরের কিছু বেশি সময় তিনি এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
জিয়াউর রহমানের পিতা মনসুর রহমান কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংসে একটি সরকারি দপ্তরে কাজ করতেন। সপরিবারে তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। জিয়াউর রহমানের জন্ম এই কলকাতাতেই ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি। তবে ১৯৪০ সালে কলকাতা জাপানি বোমারু বিমানের টার্গেটে পরিণত হওয়ায় জিয়াউর রহমানের পিতা পরিবারের সকলকে বগুড়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে জিয়াউর রহমানের পড়াশুনা বগুড়ার জেলা স্কুলে শুরু হলেও ১৯৪৬ সালে তার পিতা তাকে কলকাতায় নিয়ে এসে হেয়ার স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমানের বয়স ছিল ১০ বছর। পড়তেন পঞ্চম শ্রেণিতে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ