নিজস্ব প্রতিবেদক:
জঙ্গিবাদের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান ও ধানমন্ডির লেকহেড গ্রামার স্কুলের দুইটি শাখা বন্ধ রাখার মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাবের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ রবিবার এ আদেশ দেয়।
গত ১৪ নভেম্বর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্কুলের শাখা দুইটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করলে গত ১৫ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের রায়টি ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দিলো।
জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে স্কুলটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ করতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে পদক্ষেপ নিতে বলে। ওই আদেশে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন নেয়নি। এর পরদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্কুলটি সিলগালা করে দেন।
এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুইটি রিট আবেদন করা হয়। স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে রিট আবেদন করা হয়। গত ৯ নভেম্বর স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আকতার ইমাম। রাস্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ