নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এটিকে (লিগ্যাল এইড কমিটি) আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন এবং দ্রুত সকল জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের সমস্যার সমাধান করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। রাষ্ট্র আইন করেছেন কাকে কাকে লিগ্যাল এইড দিবেন। তবে এর বাইরে গিয়েও আমাদেরকে আইনজীবী ও অন্যদের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হয়। লিগ্যাল এইড দেওয়ার বিষয়ে যে সমস্যার রয়েছে তা যদি সুপারিশ আকারে সরকারের সঙ্গে কথা বলা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এর সমাধান করতে পারব।
তিনি বলেন, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের বিষয়টি বাস্তবায়নে আমার মনে হয় আইন সংশোধন করতে হবে। লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এটিকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, লিগ্যাল এইড কমিটিকে আরও ক্ষমতা দিতে হবে এবং শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে আইনের দুর্বল দিকগুলো সংশোধনে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি এখানে অনেক সমস্যার কথা শুনেছি। এটা আদালত হলে এখানেই রায় দিয়ে সমাধান করে ফেলতাম। কিন্তু, আমার মনে হয় এসব নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসে সমাধান করা উচিৎ।
আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে নারী নির্যাতনের সার্বিক চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ এবং বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন আমরাই পারি জোটে নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা এবং আমাদের অভিজ্ঞতা বিষয়ক আলোচনা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুমা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল বরজ কুমার মজুমদার ও জুডিশিয়াল অ্যাডমিনেস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ