আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বড়দিনের আগেই অস্ট্রেলিয়ায় বৈধতা পাচ্ছে সমকামী বিয়ে। দেশটিতে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে সম্প্রতি দুইমাস ব্যাপী একটি জরিপ পরিচালিত হয়। যেখানে বেশির ভাগ অস্ট্রেলিয়ান সমকামী বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আর জরিপের ফলকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেই সমকামী বিয়ের আইনি বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার। বুধবার ওই জরিপের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার শতকরা ৬১ ভাগ মানুষই সমকামী বিয়ের পক্ষে। এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন শতকরা ৩৮ ভাগ।
জরিপ পরিচালনা করে অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস। এ খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলবোর্নের চেহারা পাল্টে গেছে। সমকামীদের রেইনবো বা রঙধনু রঙের পতাকায় ছেয়ে গেছে চারপাশ। একই রঙের ধোয়া উড়ানো হচ্ছে আকাশে বাতাসে। চারপাশ আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এ আনন্দে শরীক হয়ে তাদের উল্লাস প্রকাশ করছেন। জরিপের ফল শুনে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বহু সমকামী। তাদের মধ্যে জেন মাহানি (২৮) ও জোসি লেনি (২৬) অন্যতম। খবর শুনেই এই সমকামী যুগল একে অন্যের বাহুতে যেন হুঁশ হারিয়ে ফেলেন। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া জুড়ে চালানো এই জরিপে অংশ নেন এক কোটি ২৭ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৯.৫ ভাগ। তারা জরিপে অংশ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যে ও অস্ট্রেলিয়ার ভূখন্ডে সমকামী বিয়ের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন। অনেকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ায় সমকামী বিয়ের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা, বিক্ষোভ চলছে। এখন দৃশ্যত তা আইনের দিকে ধাবিত হবে। জরিপের ফল প্রকাশের পর মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে বিস্ময়কর ভোট পড়েছে। তাই আগামী বড়দিনের আগেই সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেয়া হতে পারে।
ক্যানবেরা থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা এর প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন। তারা ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এখন তারা বিষয়টি আমাদের কাঁধে তুলে দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টকে এখন বাকি কাজটি করতে হবে। জনগণের এই মতামতের পক্ষে সায় দিয়েছেন বিরোধী লেবার দলনেতা বিল শর্টেনও।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি