আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতারের ওপর সৌদি জোট যেভাবে অবরোধ আরোপ করেছে, একইভাবে অবরোধের অাশঙ্কা করছেন লেবাননের রাজনীতিবিদ ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। সৌদি জোটের অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের অন্যতম দেশ কাতার। লেবাননের নাগরিকরাও অবরোধের আশঙ্কায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। লেবাননের চার লাখের বেশি নাগরিক উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিবছর সাত-আট বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান তারা। দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস এই রেমিট্যান্স।
দেশটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘ইতোমধ্যেই নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা লেবাননের অর্থনীতির জন্য এটা বড় ধরনের হুমকি। যদি তাদের রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দুর্যোগ দেখা দেবে।’ লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি গত ৪ নভেম্বর পদত্যাগের পর থেকে সৌদির অবরোধের শঙ্কার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সৌদি আরবের কাছ থেকে চাপের বিষয়টি লেবাননের নেতারাও উল্লেখ করেছেন।
সৌদি আরবের ভাল বন্ধু ছিলেন হারিরি। গত রোববার তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশে সৌদি অবরোধ আরোপ করতে পারে। এতে করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে বসবাসরত লেবাননের কয়েক লাখ নাগরিককে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা এড়াতে লেবাননের প্রতি সৌদির শর্তের ব্যাপারে তিনি জানান, লেবাননের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিজবুল্লাহ এবং ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীকে আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে ইয়েমেনে সংঘাত থামাতে হবে।
এক সাক্ষাৎকারে হারিরি জানিয়েছেন, লেবাননে সৌদির অবরোধ অনেকটাই কাতারের মতো করে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেবাননের সঙ্গে সৌদির পররাষ্ট্রনীতি অতীত হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সেখানকার পররাষ্ট্রনীতি ঠিক হচ্ছে। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে সৌদির সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি