নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডা. শামারুখ মেহজাবীন সুমির ‘রহস্যজনক মৃত্যুর’ তিন বছরেও প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হয়নি। পরিবারের দাবি, মেয়ের শাশুড়ি, শ্বশুর ও স্বামী পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তবে আসামি পক্ষের দাবি ও প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ডা. শামারুখের আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে পুণঃময়নাতদন্ত করা হয়। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ডা.শামারুখের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি। এরপর আদালতে নারাজি দেন বাদী। এরপর পুনঃতদন্তের আবেদন করে বাদী। কিন্তু নিম্ন আদালত আবেদন গ্রহণ করেনি। এরপর উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। উচ্চ আদালত নারাজি গ্রহণ করেছে। শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
সুমির বাবা নুরুল ইসলামের দাবি, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। এজন্য মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার প্রাপ্তির অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। আদালত থেকে মামলার নথিপত্র গায়েবেরও ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও তিনি হাল ছাড়ব না। সব কিছু বিক্রি করে হলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।
বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, আমার যা কিছু আছে, বিক্রি করে হলেও মেয়ে হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে যাব। শামারুখ হত্যাকান্ডের অনেক প্রশ্নের জবাব আজও মেলেনি। তদন্ত কর্মকর্তাও সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেননি। যে বাড়িতে শামারুখ খুন হন, সেই বাড়ির সামনে গণস্বাস্থ্য হসপিটাল। সেখানে না নিয়ে শ্বাশুড়ির হসপিটাল সেন্ট্রাল রোডে নিয়ে যায়। বাড়ির কাছেই থানা। পুলিশ না নিয়ে কেন লাশ নামানো হল। তাছাড়া বাসার বাথরুমের উচ্চতা ছিল ৫ফুট ২ ইঞ্চি, সেখানে মাথা নিচু করতে ঢুকতে হত। সেখানে কিভাবে ৫ ফুট ৩ইঞ্চি উচ্চতার একটি মেয়ে কিভাবে ঝুলতে পারে? । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে এই সব অবস্থার কথা তুলে ধরেননি।
নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আসামিদের বাড়ি একই গ্রামে। এছাড়াও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায়, তাদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল। এজন্য তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবিত হয়েছে। আদালত থেকে ১৬১ ধারার জবানবন্দির নথি গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ