নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি সপ্তাহে এক দফা এবং আগামী সপ্তাহে আরও এক দফা বৃষ্টির পর শীত পড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কারণে এ সময় তাপমাত্রা কমার বদলে বেড়ে গেছে। তবে সেই নিম্নচাপ কেটে গেছে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও নগরে ঘামছে মানুষ। এমন আবহাওয়া খানিকটা অস্বাভাবিকই ঠেকছে মানুষের কাছে। শীত আসতে এত দেরি কেন, সে নিয়ে রয়েছে আলোচনা।
গত কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়ার আচরণ অনেকটা অস্বাভাবিক। গত দুই বছর ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম, গত বছর শীত মৌসুমও ছিল সংক্ষিপ্ত। আর চলতি বছর বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। বর্ষণের কারণে গরম অনুভূত হয়েছে কমই। কিন্তু তুলনামূলক আরামদায়ক হেমন্তও এখনও আসেনি সেভাবে। আবহাওয়ায় এখনও ভাদ্রের গরমের ভাপটা রয়ে গেছে কিছুটা।
এই অবস্থায় শীতের জন্য নগরবাসীর অপেক্ষা আর আকুতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুকে। শীত নামে একটি ঋতু হারিয়ে গেছে- এই ধরনের মন্তব্যও করছেন কেউ কেউ।
শীত কবে আসবে- বড় হয়ে উঠা এমন প্রশ্ন করলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। এরপর আরও এক দফা বৃষ্টির পর দ্রুত কমতে থাকবে তাপমাত্রা। গ্রাম এলাকায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ঢাকার আগে শীত পড়বে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি শ্রীলঙ্কার দিকে চলে গেছে। ওখান থেকে কিছু মেঘ আমাদের দিকে আসায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেছে। এ কারণেই এই সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে।’
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশেই হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৃষ্টিটা কেটে গেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে। এর কয়েকদিন পরে আবারও একটা বৃষ্টি আসতে পারে। এর পরেই শীত আসতে শুরু করবে।
বজলুর রশিদ বলেন, বরাবরের মতো এবারও শীত প্রথম অনুভূত হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। রাজধানীবাসী এই আমেজ পেতে পারে চলতি মাসের শেষের দিকে।
হত দুই বছর ধরেই আবহাওয়ার আচরণ অনেকটা অস্বাভাবিক। এবার শীত মৌসুম কেমন হবে, এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এই প্রশ্নের জবাব পেতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ