নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যরা ফাঁকা গুলি চালিয়ে তিন বিজিবি সদস্যকে আহত করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর বিকাল ৫টার দিকে উভয় দেশের বিজিবি ও বিএসএফ অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেষ হয়।
ঘটনার পর থেকে সীমান্তবর্তী ওই এলাকার জনগণের মাঝে আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা সীমান্তের কেরানীনগর মধ্যমপাড়া এলাকার বাংলাদেশ সীমান্তে দুই নারীকে চোরাকারবারী সন্দেহে ধাওয়া করে বিএসএফর এক সদস্য নো-ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ৩শ’ গজ ভেতরে ঢুকে ওই নারীদের আটকের চেষ্টা করে। এসময় বিজিবির গোয়েন্দা বিভাগের ফিরোজ নামের এক সদস্য বিএসএফ সদস্যকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ ও তাদের আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
এসময় বিএসএফ সদস্য ও ভারতের ৮/১০ জন স্থানীয় লোক বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য ফিরোজকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাংলাদেশের স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং বিএসএফ সদস্যকে ধরে স্থানীয় গোলাবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল, স্থানীয় বাসিন্দা রিপন, বাপ্পী, কলেজ ছাত্র মাজহারুল ইসলাম ও মাহমুদসহ স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার একপর্যায়ে ভারতের ৪০/৫০ জন লোক ও বিএসএফর ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র সদস্যরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এ সময় টহলরত দুই বিজিবি সদস্য ও বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য ফিরোজকে বেধড়ক মারধর করে।একপর্যায়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টির জন্য বিএসএফ ফাঁকা গুলি চালায়। স্থানীয় বাংলাদেশি লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে বিএসএফ ও ভারতীয় লোকজন পালিয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুমিল্লা ১০ বিজিবির কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত, অধিনায়ক পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ প্রতিনিধিরা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর