নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে কৃষকের শতাধিক একর জমির বোরো ধান। ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে ইটভাটা সংলগ্ন কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির সহস্রাধিক গাছপালা। জমির পাকা ধান পুড়ে যাওয়া ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার ভুক্তভোগী কৃষকরা।
ধান, কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা নিয়মনীতি না মেনে কৃষি জমি ও বসতবাড়ীর পাশে যত্রতত্র গড়ে উঠা এই নইট ভাটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা ইট ভাটার মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় শাহীন ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটার ইট পোড়ানোর সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত গ্যাস রাতের আঁধারে ছেড়ে দেয় ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ। এই বিষাক্ত গ্যাসে আস্তে আস্তে ইট ভাটা সংলগ্ন প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার কৃষকের ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এর মধ্যে চৌধুরীপাড়া, হাজিরডোবা ও বানির খামার গ্রামের প্রায় শতাধিক একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত পুড়ে যায়। এর সাথে কচু ক্ষেত ও বড়াই বাগানসহ সহস্রাধিক গাছপালার পাতা পুড়ে মরে গেছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক খায়রুল ইসলাম জানান, জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধান পুড়ে যাওয়ায় সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছি। কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে আবাদ করেও বউ বাচ্চা নিয়ে উপোস থাকতে হবে। আমি ভাটার মালিকের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।
একই ইউনিয়নের হাজির ডোবা গ্রামের ফুলাল্লি মিয়া জানান, শাহীন চেীধুরীর সিএইচবি ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে আমার ৩ একরেরও বেশি জমির বোরো ধান ক্ষেত পুড়ে গেছে। আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই।
সিএইচবি ইট ভাটার মালিক শাহীন চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে ইট ভাটার ছেড়ে দেওয়া গ্যাসে কৃষকের ফসলের ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, কৃষকরা যতটা অভিযোগ করছে তত ক্ষতি হয়নি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ইট ভাটার গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলী জমি পরিদর্শন করেছি। কৃষকের ফসলের ক্ষতিপূরণ না দিলে ইট ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ জনতা/এন এইচ