দেশটির খাদ্য ও ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চে ৪০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলে কৃষকেরা ভালো দাম পাবেন। এই মন্ত্রী দাবি করে বলেন, দাম এখন স্থিতিশীল হয়েছে। ফসলের পরিমাণও প্রচুর। এখন পেঁয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা দামকে চাপে ফেলবে। গত বছর এই উৎপাদন ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ রুপিতে নেমে এসেছে। বাম্পার ফলনের কারণে দাম আরও কমতে পারে। এ সময় রপ্তানি করলে কৃষকেরা ভালো দাম পাবেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। মজুদ কমে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকেও পিঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছিল ভারত সরকারকে। ভারতের পেঁয়াজ বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে সেসময় পেঁয়াজের দাম তিনশ ছাড়িয়ে যায়। চাপ সামলাতে মিশর-তুরস্ক-পাকিস্তান থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ। তাতে দাম কিছুটা কমলেও এখনো নাগালের বাইরে পেঁয়াজের দাম।