আদালত আদেশে বলেছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে সক্ষম নয়, এমন কথা বলেনি। তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে সকালে শুনানিকালে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি খোলা হয়। এরপর আদালত সবার সামনেই সেটি পড়ে শোনান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ডায়বেটিক, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা ও বাতের সমস্যা রয়েছে। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাক পেইন। এই সমস্যাগুলোর অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য খালেদা জিয়ার অনুমতি না থাকায় তা শুরু করা যায়নি।
এরপর বিচারক আদেশ দিতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন রবিবার পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু আদালত তাতে রাজি না হলে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় দেয়ার আবেদন জানান। এরপর আদালত আদেশের জন্য ওই সময় দেন।
বিরতির সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদন করেন। পরে এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভান্স (উন্নত) ট্রিটমেন্টের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, সম্মতি দিলে চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না এবং শুরু হলে কী অবস্থা তা জানাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসিকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বুধবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে এ প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
ওই আদেশ অনুসারে বুধবার বিএসএমএমইউ থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আজ সকালে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। পরে সেটি পড়ে শোনান বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে তা বেড়ে ১০ বছর হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনো আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।
গত ডিসেম্বরে বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এবার উচ্চ আদালতে জামিন পাবেন এমনটা আশা ছিল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের। তবে এবারও মিলন না জামিন। পরবর্তী করণীয় আলোচনায় ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।