২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:০৫

রূপা ধর্ষণের পর হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এ অভিযোগ গঠন হয়নি। অভিযোগ গঠনের জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার নাছিম বলেন, অভিযোগ গঠনের জন্য রোববার আদালত কর্তৃক দিন ধার্য ছিল। সকালেই এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু আদালতের বিচারক না থাকায় এ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের বিরুদ্ধে রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য পরদিন ১৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়। পরে বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল ১৩ নভেম্বর।

চার্জশিট পাওয়ায় মামলার তারিখ এগিয়ে আনার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আব্দুল মান্নান শুনানি শেষে গত বুধবার ১৩ নভেম্বরের স্থলে তারিখ এগিয়ে এনে আগামী ২৫ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন। পরে গত ১৫ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ২৫ অক্টোবর আদালত এই চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জশিট গঠনের জন্য ১৩ নভেম্বরের মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় নারী হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল জেলহাজতে আছেন।

এদিকে গত ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কাছে রূপার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয় এবং তার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :নভেম্বর ১৩, ২০১৭ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ