আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান ও ইরাক সীমান্তে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে দুই দেশের ১৪৫ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে বহু লোক আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। দেশ দুটির সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। ইরানের কারমানশাহ প্রদেশের উপ-গভর্নর মোস্তবা নিকারদার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই প্রদেশে অন্তত ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জনই সীমান্তবর্তী শহর সার্পল-ই-জাহাবের। মোস্তবা বলেছেন, ধ্বংস স্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ে আছেন। আমরা আশা করছি, হতাহতের সংখ্যা বেশি বাড়বে না, তবে বাড়বে।
অন্যদিকে, কুর্দিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সেখানে চারজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, কুর্দিস্তান অঞ্চলের সুলাইমানিয়া প্রদেশের ইরান সীমান্তে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ইরাকের আবহাওয়া অফিস বলছে, ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দুই দেশের অনেক শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ শীতের মধ্যে রাস্তা কিংবা পার্কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলরেজা রাহমানি ফজলি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, রাত হওয়ার কারণে দুর্যোগকবলিত এলাকায় হেলিকপ্টার পাঠানো যায়নি। তাছাড়া বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ইরাকি কর্তৃপক্ষ বলেছে, কুদিস্তান অঞ্চলের দারবাদিখান শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কুর্দিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেকাওয়াত হামা রাশীদ বলেছেন, ওই শহরে ৩০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি