আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের একদিন পরেই বাহরাইন নিজেদের নাগরিকদের ওই দেশে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। এরপর গতকালই সৌদি আরবের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারির ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে একই রকম নির্দেশ জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কুয়েত।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল মনে করছে, সৌদি বলয়ের চারটি দেশ একযোগে ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারি করায় লেবানন ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। যা অর্থনৈতিক সঙ্কটের চেয়েও বড় আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা। সৌদি আরবের এই জোট অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরও কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে।
গত শনিবার ইরানের সঙ্গে বৈঠক সেরে সৌদি আরবে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি।
বহু দিন ধরেই লেবানন মোটামুটি দুইভাগে বিভক্ত। একটি দল হচ্ছে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হিজবুল্লা গোষ্ঠী, অন্যটি হলো সৌদি আরবের সমর্থন পাওয়া হারিরির সুন্নিপন্থী দল। এখন হিজবুল্লাই গোটা লেবাননের দখল নিয়ে বসে আছে বলে পদত্যাগের দিন জানালেন হারিরি।
কিন্তু হারিরি এখন কোথায়? শোনা যাচ্ছিল, হারিরি হয়তো ফ্রান্সের কাছেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে থাকতে পারেন। সৌদি সফরে এসেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যদিও হারিরির তরফে তিনি এমন কোনও অনুরোধ পাননি বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ