নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহনের সময় তেল চুরির অভিযোগে যমুনা অয়েল লিমিটেডের চট্টগ্রাম শাখার তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার দীঘলিয়া থানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬-এর ডিএডি শামছুল কবীর বাদী বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল বুধবার খুলনা র্যাব-৬-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম থেকে খুলনা পর্যন্ত জ্বালানি তেল পরিবহন করার সময় বিভিন্ন নদীতে এবং খুলনার ভৈরব নদের দুই তীরে চোরাই তেল কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ব্যবসার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে র্যাব।
র্যাব-৬-এর বিশেষ কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, সম্প্রতি প্রায় আট কোটি টাকার জ্বালানি তেল চুরির ঘটনা প্রকাশের পর তাঁরা তদন্তে নামেন। তদন্ত চলাকালে খুলনার ভৈরব নদে অবস্থানরত এমটি রায়দা সি ১৩২৫ নামক একটি ট্যাঙ্কার র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়। জাহাজটির কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা এই নদীপথে নিয়মিত কোটি কোটি টাকার জ্বালানি তেল বাজারে কম মূল্যে বিক্রি করেন। এর ভিত্তিতে চোরাই তেল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করে তাদের হেফাজত থেকে সাড়ে আট হাজার লিটার চোরাই তেল জব্দ করে র্যাব।
এই তেল চুরির সিন্ডিকেটের সঙ্গে যমুনা অয়েল লিমিটেডের চট্টগ্রাম টার্মিনাল ম্যানেজার নুরউদ্দিন আল মাসুদসহ ১৭ জনের যোগসাজশ পাওয়া যায়। নূরউদ্দিনসহ এই মামলায় আসামি করা হয়েছে যমুনা অয়েল চট্টগ্রাম ডিপোর ডিউটি অফিসার সমির বাবু, বাল্ক অফিসার নন্দী বাবু, এমটি রায়দা ট্যাঙ্কারের ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গির আলম সহ মোট ১৭ জন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

