আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবে দুর্নীতি তদন্তে ২০৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন কয়েক ডজন প্রিন্স, একাধিক মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।দেশের বাইরেও তদন্তের কাজ শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অবৈধভাবে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা ২০৮ জনের মধ্যে সাতজনকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
সৌদি বাদশাহ সালমান সম্প্রতি এক ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন দুর্নীতি দমন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর ১১ জন প্রিন্স, চারজন মন্ত্রী এবং ডজনখানেক সাবেক মন্ত্রীকে আটক করার খবর আসে।
সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “গত তিন বছর ধরে তদন্তের ভিত্তিতে আমরা ধারণা করছি, কয়েক দশকে ঘুষ, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অপব্যবহার হয়েছে।”
এই তদন্তে কয়েক ডজন প্রিন্স, একাধিক মন্ত্রী ও ধনকুবেরকে আটকের কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ, যাকে যুবরাজ মোহাম্মদের প্রভাব আরও সুসংহত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের এই তদন্তে কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও বিস্তৃত হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৯ সৌদির ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য জানাতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
আটক যাঁদের নাম এখন পর্যন্ত জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—বিলিয়নেয়ার প্রিন্স আলওয়ালেদ বিন তালাত, ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক প্রধান প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ, তাঁর ভাই রিয়াদের সাবেক গভর্নর তুর্কি বিন আবদুল্লাহ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর