২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০২

যবিপ্রবিতে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ছয় সদস্যকে দণ্ড

যশোর প্রতিবেদক:

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টায় জড়িত চক্রের ছয় সদস্যকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ আটকের পর কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই ভর্তি পরীক্ষার্থী ও এক শিক্ষকও রয়েছেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র ও এক ছাত্রাবাস থেকে এদের আটক করা হয়।

বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা প্রদান করা হয়। দুই ছাত্রকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং শিক্ষকসহ আরও তিন সহযোগীকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পরীক্ষার্থী যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকী বিল্লাহর ছেলে আতাউল্লাহ সোহান ও শার্শার ডিহি গ্রামের আনিসুজ্জামান খানের ছেলে মাশরাফি জামান খান, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ভূগোলের শিক্ষক মণিরামপুরের কুলটিয়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুস, এমএম কলেজের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র বেনাপোল এলাকার সাজেদুর রহমান ও মাহবুব এবং একই এলাকার রায়হান।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানী জানান, যবিপ্রবির ভর্তির পরীক্ষার তিনটি কেন্দ্র যশোর এমএম কলেজ ও শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং কানে হিয়ারিং ডিভাইসসহ মাশরাফি জামান আতাউল্লাহ সোহানকে আটক করা হয়। মাশরাফির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আলোর পরশ ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় সাজেদুর, মাহবুব ও রায়হানকে। আর ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ কেন্দ্র থেকে ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়। তিনি একটি মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, জালিয়াত চক্র সক্রিয় থাকায় যবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা সর্বোচ্চ সর্তকর্তার সাথে গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হয়। প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েরও একাধিক ভিজিলেন্স টিম মাঠে ছিল। এদের সবার তৎপরতার কারণে এই জালিয়াত চক্র প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :নভেম্বর ৯, ২০১৭ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ