নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামের দাওয়াত দিতে বাংলাদেশে আসা তাবলিগ জামাতের আট বিদেশি মেহমানকে অজ্ঞান করে তাদের সঙ্গে থাকা মালামাল লুট করে নিয়েছেন এক প্রতারক। এছাড়া প্রতারণার শিকার হয়েছেন চার বাংলাদেশিও। প্রতারকের নাম হাসান।
মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সেনারবাদী জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই প্রতারক পালিয়ে গেছে। অসুস্থদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অজ্ঞান হওয়া তাবলিগের সদস্যদের মধ্যে তিন জন থাইল্যান্ড ও পাঁচজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
জামাতে আসা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা ইলিয়াছ মিয়া জানান, এক সপ্তাহ আগে তাবলিগের এই দলটি দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে বের হয়। ১৩ জনের দলে আটজন বিদেশি মেহমান ছিলেন। বিদেশিদের সহায়তার জন্য কাকরাইল মসজিদ থেকে দোভাষী হিসেবে হাসান নামে এক যুবককে তাদের সঙ্গে দেয়া হয়। হাসানের বাড়ি ফরিদপুরে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রথমে তাবলিগ জামাতের দলটি আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রাম কেন্দ্রীয় মসজিদে অবস্থান করেন। সেখানে তিন দিন থাকার পর গত রবিবার সকালে সেনারবাদী জামে মসজিদে যায় দলটি।
ইলিয়াস মিয়া আরও বলেন, মঙ্গলবার বাদ এশা তালিম শেষে দোভাষী হাসানের আনা জুস খেয়ে তারা একে একে সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে প্রতারক হাসান মেহমানদের কাছে থাকা ডলার, টাকা, মোবাইল ফোন ও ক্যামেরাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে কত টাকা ও কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে তিনি তা জানাতে পারেননি।
সেনারবাদি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ফজরের আযান হওয়ার পর মসজিদে প্রবেশ করতেই দেখি প্রধান দরজা খোলা। নামাজের সময় ঘনিয়ে আসলেও কেউ না জাগলে ডাকাডাকি করলে তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আখাউড়া উপজেলা তাবলিগের আমিরসহ অন্যরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করেন।’
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।’
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ