নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর দুই বছর পর রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান।
এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. মানিক লাল চাকমা, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ কে দেওয়ান, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দেসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুলাই নাগাদ কিছু ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে এবং ২০১৮ সালের শেষ দিকে বেশির ভাগ ভবনে কার্যক্রম শুরু করার আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ জটিলতা শেষে ভূমিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ভূমিস্বত্ত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা রাঙামাটির ঝগড়াবিল মৌজার বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানে নামফলক স্থাপন করেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করলেও দীর্ঘ জটিলতা শেষে ও পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক দলগুলোর বাধা সত্ত্বেও ২০১৫ সালে শহরের একটি বিদ্যালয়ে দুটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ব্যাচে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ