নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ বাজারে কোটি টাকার সরকারি জমিতে পাকা ইমারত নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বলছেন, এ ধরনের কোনো খবর তাদের জানা নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার গৈড্যা মৌজায় ভেদরগঞ্জ বাজরের প্রধান সড়কে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত একটি চান্দিনা ভিটি এক দশমিক ১৭ শতক জমি একই উপজেলার কোড়ালতলী গ্রামের মৃত মঙ্গল সরদারের ছেলে সুজন সরদার ও রাসেল সরদার স্থানীয় রামভদ্রপুর ইউনিয়ন (পৌর) ভূমি অফিস থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে। ইতোমধ্যে সুজন সরদার ও রাসেল সরদার উল্লেখিত দোকান ঘরটি মেরামতের নাম করে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আবুল কালামের সঙ্গে ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনই বলছেন, এ বিষয়ে তারা কোন কিছুই জানেন না। তবে সরকারী বন্দোবস্ত জমিতে কোন প্রকার পাকা ইমারত নির্মাণ করার বিধান নেই।
দোকানদার সুজন সরদার বলেন, ‘সরকারী জমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যবসা করে আসছি। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পাকা কাজ শুরু করেছি।’রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করেই গোপনে পাকা ভবন নির্মাণের জন্য কলাম ও ভিম তৈরী করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অবশ্যই এ কাজ বন্ধ করে দিব।’ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমার কোন কিছু জানা নেই। তবে সরকারী জমি (ডিসিআর) বন্দোবস্ত নিয়ে পাকা ইমারত নির্মাণের কোন বিধান নেই।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ