২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৮

বিদ্যুতের দাম ২৮ পয়সা কমানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে অযোক্তিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার রক্ষার সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাব।  একই সঙ্গে সংগঠনটি পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উল্টো প্রতি ইউনিটে ২৮ পয়সা কমানোর প্রস্তাব করেছে।আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে ক্যাব আয়োজিত ‘বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সভাপতিত্ব  করেন ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুতের দাম কমানোর উপর ক্যাবের গণশুনানীতে প্রতীয়মান হয়, পাইকারি বিদ্যুতের পাইকারী ও খুচরা দুই  ধাপে দামের ঘাটতি হার ইউনিট প্রতি ২৬.৫ পয়সা  বা মোট ১৪৭৩ কোটি টাকা। অথচ সেচ ও প্রান্তিক গ্রাহকদের লোকসানে বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘাটতি হার বৃদ্ধি পায় ৫৫ পয়সা বা ৩০৪৬ কোটি টাকা।

শামসুল আলম বলেন, পিডিবি ব্যতিত আরইবি’সহ সকল ইউটিলিটির ইউনিফাইড বেতন স্কেল পরিবর্তন করে বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধি করা বেআইনি, এখতিয়ার বর্হিভূর্ত ও অগ্রহণযোগ্য। এ ব্যয় বৃদ্ধি অন্যায় ও অযৌক্তিক।

তিনি বলেন, আরইবি’র বিদ্যুৎ ব্যবহার করে মোট বিদ্যুতের ৪৬ শতাংশ, জোপাডিকো ও নেসকো মিলে ব্যবহার ১৪.৪৩ শতাংশ,  ডেসকো ও ডিপিডিসি মিলে ব্যবহার করে ২৫ শতাংশ, প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ।

তিনি জানান, আরইবি, নেসকো এবং ওজোপাডিকো’র নিকট পিডিবি ৬০ শতাংশ লসে বিক্রি করে।  বিপরীতে ডিপিডিসি ও ডেসকোর নিকট ২৫ শতাংশ লাভে বিক্রি করে। লাভজনক বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রবৃদ্ধির তুলানায় লোকসানজনক বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :নভেম্বর ২, ২০১৭ ৬:০৬ অপরাহ্ণ