আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক হামলার পরে আরও কট্টরবাদের পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খুলে রাখতে ‘গ্রিন কার্ড লটারি’ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার সেই ব্যবস্থাও বন্ধ করবেন বলে ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যানহাটানের রাস্তায় ট্রাক নিয়ে হত্যালীলা চালানোর অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল্লা সাইপভ উজবেকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল এবং গ্রিন কার্ড লটারির মাধ্যমেই সে ওই দেশে থাকার ছাড়পত্র পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। গ্রিন কার্ড লটারি বন্ধ করে দিতে এই দৃষ্টান্তই ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে।
নিউ ইয়র্কের হামলাকারীকে বুধবার ‘পশু’ বলে সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প। ক্যাবিনেট বৈঠকে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেই আলাপচারিতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে আমার প্রশাসন এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে এবং যে পশুটা এই হামলা চালাল, তার বিষয়েও আরও খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে যারা এই ধরনের হামলা চালাবে, তাদের আরও দ্রুত এবং আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন বিচার বিভাগ যে প্রক্রিয়ায় এই অভিযুক্তের বিচার করবে, তাতে শেষ পর্যন্ত কঠোর সাজা হবে কি না, তা নিয়েও ট্রাম্প সংশয় প্রকাশ করেন।
যাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দিলে আমদের বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা, তাদের প্রবেশ যে কোনও মূল্যে আটকানো হবে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন।
বিভিন্ন দেশের মেধাবী মানবসম্পদকে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই নিজেদের দেশে স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু এমন অনেক দেশই রয়েছে, যেখান থেকে মেধার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ খুব বেশি মানুষের হয় না। মার্কিন জনসংখ্যার বৈচিত্রের স্বার্থে ১৯৯০ সালে ‘ডাইভার্সিটি ভিসা প্রোগ্রাম’ নেয় দেশটি। সেই কর্মসূচির আওতাতেই গ্রিন কার্ড লটারির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া কিছু দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বন্দোবস্ত করে থাকে ওয়াশিংটন।
নিউ ইয়র্কের হামলাকারী এই গ্রিন কার্ড লটারির সুযোগ নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছিল বলে জানার পর, ওই ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষে জোর কাজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গ্রিন কার্ড লটারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে অবিলম্বে কাজ শুরু করুক প্রশাসন, নির্দেশ ট্রাম্পের।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ