নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপকূলের কৃষকদের ক্ষেত জুড়ে উকি দিচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। স্বপ্নের সোলালী ফসল ঘরে তোলার আসায় প্রতিটি কৃষক পরিবারের চোখে মুখে লেগে আছে এখন সোনালী স্বপ্ন পূরণের ছাপ।
বেশীর ভাগ কৃষক পরিবারের মাঝে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব আয়োজনের প্রস্ততি। সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রত্যন্ত গ্রাম-গায়ের কৃষকরা তাদের ক্ষেতের ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোন বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনা ভরে উঠবে এমন আশায় দিন গুনছেন হাজারো কৃষক পরিবার।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষকদের ক্ষেত সবুজের সমারোহ। বাতাসে সবুজ শিষ দুলছে। ক্ষেতের আগাছা দমন, পোকা দমনসহ অন্যান্য পরিচর্যায় কৃষকেরা এখন ব্যস্ত রয়েছে। আবার অনেকে অধিক ধান পাওয়ার আশায় নিজ নিজ জমিতে রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করছে। এছাড়া ক্ষেতের মধ্যে পোতা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডালের উপর ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে আছে। সুযোগ বুঝে ধানক্ষেতে থাকা ক্ষতিকর পোকা ওইসব পাখিরা খেয়ে ফেলছে। তবে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর বাম্পার ফলন পাওয়ার উজ্জল সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দ ফুটে উঠেছে।
কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৪ হাজার ৫শ’হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার একশ’ হেক্টর উফশী ও ১০ হজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ধানের চাষ করা হয়েছে। একাধিক কৃষক জানান, কিছু দিন পরই স্বপ্নের সোনালী ধান কাটা শুরু কবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেতে আমন ধানে বাদামি ফড়িং পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে ইদুরের উপদ্রব। সব মিলিয়ে বাম্পার ফলন ঘরে তোলায় কৃষকের রঙিন স্বপ্ন এখন বিবর্ণ হয়ে গেছে। কারও কাছে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক রাসেল শিকদার বলেন, সে ৮ কড়া জমিতে চাষ করেছে। খুব ভাল ফসল হয়েছে। চাকামইয়া ইউনিয়নের নিহার মিত্র জানান, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ঘরে তোলব। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মসিউর রহমান জানান, এ বছর প্রকৃতি ছিল আমন চাষের অনুকূলে। এখন পর্যন্ত ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি