আমাদের দেশে শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। কারণ শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠা-পুলির যে স্বাদ সেটা অন্য সময় পাওয়া যায় না। আর শীতে যত রকমেরই পিঠা তৈরি হোক না কেনো ভাপা পিঠার সাথে অন্য কোনো পিঠার তুলনাই হয় না। তবে অনেকেই মনে করেন যে ভাপা পিঠা বানানো বুঝি অনেক ঝামেলা। মটেও তা না। আপনার সুবিধার জন্য জানাচ্ছি কীভাবে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন ভাপা পিঠা। তাহলে দেখে নিন রেসিপিটি।
উপকরণ:
চালের গুঁড়ো ৬ কাপ
নারকেল কোড়ানো ২টা
খেজুর গুড় –২ কাপ
লবণ – ২ চা চামচ
পানি – পরিমান মতো
প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম
এছাড়া আরো লাগবে ভাপা পিঠা বানাবার জন্য পাতিল ও ভালোভাবে এটে বসে এমন ঢাকনা।
পাতলা সুতি কাপড়ের টুকরা। ২-৩টা
পিঠার ছাচ বা পছন্দ মতো সাইজের বাটি
আটা বা ময়দা পরিমাণ মতো (হাড়ি ও হাড়ির ঢাকনা সিল করার জন্য)
প্রণালি:
চালের গুঁড়ায় লবণ ও পানি ছিটিয়ে মেখে নিন। ঝুরঝুরে মাখা হবে হাতে চাপ দিলে মুঠি হবে আবার ভেঙে ফেললে ঝুরঝুরে হবে এমন আন্দাজ মতো পানি দিবেন। এবার চালের গুড়া টা মোটা চালুনি দিয়ে চেলে নিন।
.নারকেল কোড়া ও খেজুরগুড় কুচিয়ে নিন।
.পিঠার পাতিলের অর্ধেক এর বেশি পানি দিয়ে চুলায় দিন। পানি ফুটে উঠলে পিঠা বানান।
.বাটিতে প্রথমে চালের গুড়া দিন। এর উপর নারকেল আর গুড় দিন। আবার চালের গুড়া দিয়ে ঢেকে দিন।
.পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিঠার পাতিলে উপুড় করে দিয়ে বাটি সরিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে দিন।
সাইজ বুঝে সময় লাগে ভাপে পিঠা সিদ্ধ হতে।
ছোট পিঠা হলে ২-৩ মিঃ
বড় পিঠা হলে ৪- ৫ মিঃ
সাবধানে ঢাকনা খুলে পাতলা কাপড়সহ পিঠা তুলে নিন।
এবার গরম গরম স্বাদ নিন ধোয়া উঠা সুগন্ধি ভাপা পিঠার।
পিঠা বেশি স্পেশাল করতে চাইলে চালের গুঁড়ায় পানির বদলে দুধ দিয়ে মাখাতে পারেন। গুড় নারকেল এর সাথে দুধের ক্ষিরসা দিতে পারেন। চেরী কিস্মিস দিয়ে পিঠার উপর ডিজাইন ও করতে পারেন ইচ্ছা মতো।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি