২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:২৮

মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে সারাদেশে উৎসবের আমেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ উপলক্ষ্যে মার্সেল শোরুমগুলো সেজেছে নতুন সাজে। চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও। ফলে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে ঘিরে সারা দেশে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। মার্সেল শোরুমগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। দশ হাজার বা তার বেশি টাকার পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে এই ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করে মার্সেল। পণ্য কেনার পর রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের ঘোষণা দেয় দেশের অন্যতম শীর্ষ এই ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। এ অফারের আওতায় প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

মার্সেলের বিভিন্ন জোনের এরিয়া ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সারা দেশে বইছে উৎসবের আমেজ। শোরুমগুলো সাজানো হয়েছে ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে। বিভিন্ন শোরুম ও সড়কে তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য তোরণ। ট্র্যাক, পিকআপ, অটোরিকশা, রিকশা ভ্যান, ঘোড়ার গাড়ি ইত্যাদিতে করে ব্যান্ড পার্টি সহযোগে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। চলছে মাইকিং। বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে পোস্টার।

মার্সেলের অতিরিক্ত পরিচালক ও বিপণন বিভাগ উত্তর জোনের প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, পণ্য কেনার পর রেজিস্ট্রেশন করতে ক্রেতাদের মাঝে এক ধরনের অনাগ্রহ কাজ করতো। কিন্তু ক্যাশ ভাউচারের ঘোষণা এবং তাৎক্ষণিক বিজয়ীর হাতে পণ্য তুলে দেয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই কার্যক্রমে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি মেসেজ পাওয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন অধীর আগ্রহে। তাদের আনন্দ হাজারগুণ বেড়ে যাচ্ছে যখন বড় অংকের ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন।

মার্সেলের ডেপুটি ডিরেক্টর ও বিপণন বিভাগ দক্ষিণ জোনের প্রধান ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, এই ক্যাম্পেইনকে ক্রেতারা দেখছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ হিসেবে। পণ্য কেনার পর নিবন্ধনে একদিকে মিলছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। অন্যদিকে বিক্রয়োত্তর সেবা এসেছে অনলাইনের আওতায়। ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যে কোনো প্রান্তে মার্সেলের সার্ভিস সেন্টার থেকে সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। ফলে মার্সেল পণ্যের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়ছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, ময়মংসিংহ, খুলনা, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী ইত্যাদি জোনের এরিয়া ম্যানেজারগণ জানান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ফলে আগের চেয়ে বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী শোরুমে আসছেন। বেড়েছে বিক্রি। যেসব শোরুম থেকে ক্রেতারা লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন, সেখানে ভিড় করছে উৎসাহী জনতা। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার বিজয়ীর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে চলছে আনন্দ মিছিল। সঙ্গে থাকছে ঢাক-ঢোল অথবা ব্যান্ড পার্টি। ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দ মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। রেজিস্ট্রেশন করে পাওয়া ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। পিকআপ-ভ্যান ভর্তি মার্সেল পণ্য নিয়ে ঘরে ফিরেছেন সৌভাগ্যবান ক্রেতা। নিজের বা পরিবারের ব্যবহারের জন্য রাখছেন পছন্দের মার্সেল পণ্য। কেউ বা আবার উপহার দিচ্ছেন আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয়জনকে।

রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার জাহিদ হাসান বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ঘিরে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে মার্সেল। ফলে যারা আমাদের সম্পর্কে জানতো না, তাদের কাছেও পৌঁছে গেছে ক্যাশ ভাউচারের খবর। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী মার্সেল শোরুমগুলোতে ভিড় করছেন।

নোয়াখালী জোনের এরিয়া ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন জানান, তার এলাকায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রেতা এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়া ক্রেতাদের নিয়ে এলাকায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে মার্সেলের নাম। এর প্রভাব পড়েছে বিক্রিতেও।

মার্সেলের মার্কেটিং বিভাগের আওতাধীন লজিস্টিক সেকশনের ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার বড়ুয়া জানান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন বিক্রয় বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গত বছরের প্রথম ১০ মাসের (জানুয়ারি-অক্টোবর) তুলনায় এ বছরের প্রথম ১০ মাসে মার্সেল পণ্যের বিক্রিতে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু এলইডি টিভির বিক্রিই বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সময় যত গড়াবে বিক্রয় বৃদ্ধির এই হার আরো বাড়বে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ক্যাশ ভাউচারের অফার শুরু হয়েছে ৮ অক্টোবর। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশের তৈরি উচ্চমানের মার্সেল পণ্যের মধ্যে রয়েছে অর্ধশত মডেলের ফ্রিজ, ৩০ মডেলের এলইডি টিভি, এসিসহ প্রায় দুই শতাধিক মডেলের হোম ও ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ৩০, ২০১৭ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ