নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে গত সোমবার আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ আবু আহসান হাবীব তা আমলে নিয়ে বিচারিক তদন্তের জন্য মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন নাসিরনগরের চাতলপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক কাজী মাহফুজুল হাসান সিদ্দিকী, নাসিরনগর থানার উপপরিদর্শক সাধান কান্তি চৌধুরী এবং ওই তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক কামাল হোসেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকায় করে চাতলপাড় ইউনিয়নের একটি বাড়িতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ভাঙচুর চালান। ভাঙচুর না করতে ওই বাড়ির নারীরা অনুরোধ করলেও পুলিশের সদস্যরা শোনেননি। বরং বাড়ির নারীদের মারধর করেন তাঁরা। একপর্যায়ে এক নারীকে নৌকায় তুলে মেঘনা নদীতে নিয়ে যান পুলিশের ওই তিন সদস্য। তাঁরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং মুখে কাপড় দিয়ে রাখেন যাতে তিনি চিৎকার করতে না পারেন। পরে তাঁকে একটি মঠের গোড়ায় রেখে চলে যান পুলিশের সদস্যরা।
ওই নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পরদিন তিনি নাসিরনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই তিনি আদালতে অভিযোগ করেছেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর বলেন, ওই দিন পুলিশ এক আসামিকে গ্রেফতার করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। ওই বাড়িতে ভাঙচুর, কোনো নারীকে মারধর বা ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই বাড়ির লোকজন মিথ্যা অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত থেকে ওই মামলাসংক্রান্ত কোনো কাগজ এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর