২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:০৭

কুমিল্লায় এক বাচ্চা ভেতরে রেখেই পেটে সেলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লায় একটি বাচ্চা পেটে রেখেই সেলাই করে দেয়া সেই খাদিজাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচারের করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে মৃত ছেলে সন্তান বের করেন চিকিৎসকরা। এরপর খাদিজাকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়েছে।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আলগিরচর গ্রামের প্রবাসী আউয়াল হোসেনের স্ত্রী ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার। দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। পাশের কলাকান্দি গ্রামেই তার বাবার বাড়ি। খাদিজার মা আমিনা বেগম জানান, দেড় বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পরপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। অন্তঃসত্ত্বারর ৭/৮ মাস বয়সেও তাকে আল্টাসাউন্ড সহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্টে চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানতে পারি খাদিজার পেটে জমজ সন্তান। আস্তে আস্তে তার বাচ্চা প্রশবের দিন ঘনিয়ে আসে। গত মাসের ১৮ তারিখ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গৌরীপুরের লাইফ কেয়ার নামের এক ক্লিনিক। ওইদিনই তাকে সিজার করা হয়। সিজারের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান হয়। তখন তার স্বজনরা ডাক্তারকে খাদিজার পেটে জমজ বাচ্চা আছে জানালে ডাক্তার শেখ হোসনে আরা স্বজনদের জানান, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। ৪দিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।
মা আমিনা বেগম আরো জানান, সেখান থেকে খাদিজাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর থেকে তার আবার সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর আবার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানতে পারে খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা আছে। এরপর গত রবিবার রাত ৮ টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে সন্তান বের করা হয়।
খাদিজার পেটে এক বাচ্চা রেখেই সেলাই করে দেয়া অভিযোক্ত সেই ডাক্তার শেখ হোসনে আরার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। খাদিজার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৫, ২০১৭ ৪:২৯ অপরাহ্ণ