স্পোর্টস ডেস্ক:
নিজেরাই নিজেদের হন্তারক জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে গোছানো ব্যাটিংয়ে সূচনাটা হয়েছিল মসৃণ। হ্যামল্টিন মাসাকাদজা ও ব্রেন্ডন টেলর দু’জনই হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু নিজেদের হাতে গড়া উদ্যান নিজেরাই তছনছ করে দিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। বাকি কাজটা সারলেন ক্যারিবীয় লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু। প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানে চার উইকেট। ম্যাচে ৯ উইকেট বিশুর প্রাপ্তি। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাপ্তি ১১৭ রানের জয়।
মঙ্গলবার বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে স্বাগতিকদের বিকেল বিষণ্ন হয়ে ওঠে বিশুর বিষ মাখানো স্পিনে। প্রথম টেস্টের চতুর্থদিন ৩১৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস। জিততে হলে ৪৩৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো জিম্বাবুয়েকে। সেটা ছিল তাদের সাধ্যের অতীত। তবু এক উইকেটে ৯৯ রানে শোভন দেখাচ্ছিল তাদের ব্যাটিং। সহসা সেটি হয়ে যায় ১০৯/২। শেষবার জিম্বাবুয়ের হয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলা ব্রেন্ডন টেলর ভালোই ব্যাট করছিলেন। তার মাথায় যে কী ভূত চাপল, ৭৩-এ রানআউটের জন্য তিনি নিজেই দায়ী। ওপেনার মাসাকাদজার ৮৭ বলে ৫০ এই ভেনু্যতে তার প্রথম ফিফটি। ৯৩ বলে ৫৭ রানে তিনি ব্রাফেটের শিকারে পরিণত হন। সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।
দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচ একই ভেনু্যতে শুরু হবে রোববার। ক্রিকইনফো/এএফপি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ২১৯
(পাওয়েল ৫৬, শাই হোপ ৯০*। ক্রেমার ৪/৬৪, উইলিয়ামস ৩/২০)।জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ৩১৬ (মাসাকাদজা ৫৭, মিরে ৪৭, ব্রেন্ডন টেলর ৭৩, সিকান্দার রাজা ৩০, জারভিস ২৩*, এমপফু ৩৩। বিশু ৪/১০৫, চেজ ২/৬১)।