নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চকগোয়াশ-দিয়াড় সড়কের চকতকিনগর এলাকায় সাত গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তার একটি অংশ ভেঙে গেছে। প্রায় এক মাস আগে রাস্তাটির কিছু অংশ ভেঙে পড়লেও মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই অংশের পুরোটা ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে আশপাশের সাত গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের চলাচল ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ওই তিন গ্রামের জমে থাকা পানি বের হওয়ার কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একমাত্র ছোট চোঙের মাধ্যমে চকতকিনগর গ্রামের মধ্যদিয়ে কোনমতে সেই পানি বড়াল নদীতে গিয়ে পড়তো।
কিন্তু কিছুদিন আগে বিভিন্ন স্থানে ময়লা ও মাটি জমে সেই চোঙটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় মাস খানেক আগে বৃষ্টি চলাকালে চোঙটিসহ রাস্তাটির কিছু অংশ ধসে নদীতে গিয়ে পড়ে। সেসময় মেরামতের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সম্প্রতি দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটির ওই ভাঙা অংশের পুরোটায় ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।
ফলে উপজেলার তমালতলা বাজারের সঙ্গে চক গোয়াশ, গোয়াশের কিছু অংশ, চকতকিনগর, একডালার কিছু অংশ, দিয়াড়, তকিনগর, আস্তিকপাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।
বাগাতিপাড়া তকিনগর আইডিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুন্তলা সরকার জানান, তিনি নাটোর জেলা শহরে বাস করেন। শিক্ষকতা করার জন্য নাটোর থেকে ওই পথ দিয়ে তাকে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। এখন রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় তাকে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও এই পথ দিয়ে চক গোয়াশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একডালা উচ্চ বিদ্যালয়, তকিনগর আইডিয়াল হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। রাস্তাটি ভেঙে পড়ায় এখন কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজে পৌঁছতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরীফ উদ্দিন রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, গত দুইদিনে এই এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। এখন শুধুমাত্র রাস্তাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন এই রস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু বলা যাবে না। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে জরুরি বরাদ্দ থেকে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ