নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়া সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ মত দেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফসহ অনেকে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির চলমান সংলাপের শেষ দিন সাবেক সিইসিসহ কমিশনারদের সঙ্গে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন অফিসে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৬ জন উপস্থিত হয়ে ছিলেন।
সংলাপে উপস্থিত হয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেছেন, বর্তমান ইসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতার প্রমাণ করা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ লোকদের ভোটের কাজে নিয়োজিত করা দরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, জনগণ হচ্ছে ভোটের মালিক। তারাই নির্বাচন করবে। সেখানে ডিসিও থাকবে না, এসপিও থাকবে না৷ তৃণমূল পর্যায়ে ভোটাররা যদি ভোট পরিচালনা করেন, তারাই যদি আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় তবে সেটাই ভালো। এ জন্য প্রতি ৫০০ জন ভোটারের জন্য একটি করে স্থায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে৷ কারণ গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের বাঁচার উপায় নাই।
সংলাপে সাবেক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন নির্বাচনকালিন সময়ে কমিশনের অধীনে সেনাবাহিনী রাখতে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী কমিশনের অধীনে নিতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ নির্বাচনের জন্য ভোটের আগে ও পরে মাঠে সেনা মোতায়েন রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রেখেই। নির্বাচনকালিন সরকার প্রসঙ্গে সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা বলেন, কার অধীনে নির্বাচন হবে তা নির্ধারণ কমিশনের নয়। যেহেতু এটা সংবিধান সংশোধনের বিষয়৷ যেহেতু সময় অনেক কম৷ তাই যে পরিবেশ আছে এর মধ্যে কীভাবে ভালো নির্বাচন করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে৷
নির্বাচনকালিন সরকার নিয়ে আলোচনা- সময় ক্ষেপন ছাড়া কিছু নয় বলেও মনে করেন শামসুল হুদ। সাবেক ইসি ছহুল হোসাইন বলেন, সব দলকে নির্বাচনে আনার জন্য ইসি উদ্যোগ নিতে পারে। আর যদি কোনো কারণে উদ্যোগ ব্যর্থ হয় তাহলে কমিশন এর দায় নেবে না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি