স্পোর্টস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ও ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। হাশিম আমলা-ফাফ ডু প্লেসিদের কাছে অসহায় আত্নসমর্পণ করে দেশের ক্রিকেটভক্তদের মন ভেঙ্গে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থকরা যেন এই ধাক্কা থেকেই বের হতে পারছেন না।
ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও এমন অবস্থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপদ সংকেত হিসেবে দেখছেন। অথচ দলের অনেক ক্রিকেটাররা হয়ত এই অবস্থার গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না। তাই তো টিম ম্যানেজমেন্টের সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছুটে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাসিনোতে।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার ম্যাচ শেষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্ট লন্ডনের একটি ক্যাসিনোতে চলে গেছেন ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ, পেসার শফিউল ইসলাম ও অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
আরো জানাযায়, নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টার মধ্যে দলের সবার হোটেলে থাকার কথা। কিন্তু সেদিন (২২ অক্টোবর) সে নিয়ম তারা মানেননি। আর পুরো ব্যাপারটিই ঘটে ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অগোচরে। রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ফেরেননি তারা। পরদিন সকালে এই ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হন নান্নু।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে সোমবার সকালে টি-টোয়েন্টি ভেন্যু ব্লুমফন্টেইনে যাত্রা করার আগে, খেলোয়াড়দের নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর অনুমতি দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সাথে অবশ্যই তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয় রাত ১০টার মধ্যে হোটেলে ফেরার কথা। কিন্তু সে নিয়মের তোয়াক্কা করেননি তাসকিন, নাসির, শফিউল।
সোমবার সকালে ঘটনার জানাজানি হলে, নান্নুকে প্রশ্ন করে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। নান্নু বলেন ‘আমি ওদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, ওরা রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল। সেখানে যদি ক্যাসিনো থাকে, ওখান দিয়ে তো যেতেই পারে। তবে আমাকে ওরা বলেছে, জুয়া খেলার মতো কিছু করেনি। আর সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্স, রাবাদারা ছিল। তাদের সঙ্গেও আড্ডা দিয়েছে তাই দেরি হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অবশ্যই আরও তদন্ত হবে জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমি এয়ারপোর্টে ওদের মৌখিকভাবে জিজ্ঞেস করেছি। ব্লুমফন্টেইনে গিয়ে যখন টিম মিটিং হবে, সেখানে এসব নিয়ে ৩ জনকে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করা হবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর