২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৫৫

বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অভিবাসন সমস্যা এখন বিশ্বব্যাপীই বাড়ছে । রাজনৈতিক অস্থিরতা, আবহাওয়া ও পরিবেশজনিত বিপর্যয়, অভাব, দরিদ্র সারা পৃথিবীতে মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে । কখনো বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে। এসব অভিবাসনে প্রথম চাপটাই এসে পড়ে খাদ্যের ওপর। বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (FAO) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয় প্রতিবছর। দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে FAO-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিকেই।

১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংস্থা। ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তাদের বার্ষিক সম্মেলনে ঠিক করা হয় যে প্রতিবছর তারা বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করবে। ১৯৮১ সাল থেকে তার বাস্তবায়ন শুরু হয়। দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দিন, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন’।
মানুষের ক্রমবর্ধমান চাপ খাদ্যের উৎপাদন ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে।  অভিবাসী মানুষের চাপে আমরাও কিছুটা বিব্রত। একদিকে আমাদের দেশে আসছে আরেক দেশের অভিবাসী। অন্যদিকে আমাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে অভিবাসী হচ্ছে উন্নত দেশে। তবে সবকিছুর পরও জীবনের উন্নয়ন হোক, মানুষের জয় হোক—সেটাই প্রত্যাশা। বদলে যাক অভিবাসনের ভবিষ্যৎ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এই দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনার ও তিনদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কারণে উদ্ভূত অভিবাসনজনিত সমস্যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ সমস্যায় নিপতিত হয়ে মানুষ পরিত্রাণের আশায় প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হচ্ছেন। এ অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি বর্তমানে গভীর সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত মাসাধিককালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।

তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এ দেশে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। কৃষির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমেই গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। ফসলের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ১৬, ২০১৭ ১:৫৭ অপরাহ্ণ